বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে আগের প্রাক্কলনের চেয়ে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরও বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

রপ্তানি খাতের পুনরুদ্ধার আর ভোগব্যয় বৃদ্ধির কারণে তাদের আগের হিসাবের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে যেসব আঘাত এসেছে, তা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, তাহলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়বে। তবে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমতে পারে। আবার বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদাও কমতে পারে।

সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বৈশ্বিক চাহিদা ঘুরে দাঁড়ানো আর কোভিড-১৯ এর সাম্প্রতিক ঢেউ মোকাবিলায় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণমূলক উদ্যোগ অর্থনীতিতে কম প্রভাব ফেলতে সহায়তা করেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হতে পারে মালদ্বীপের। দেশটির জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হলো ১১ শতাংশ। এরপরেই ভারতে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থাকবে তৃতীয় স্থানে। সমষ্টিগতভাবে এই অঞ্চলে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রাক্কলন অনুযায়ী গত জুনের প্রাক্কলনের তুলনায় ভুটান ও মালদ্বীপের প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে, ভারতের একই প্রাক্কলন রয়েছে। ২০২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ভারতের ৭ দশমিক ৫, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৪, নেপালের ৩ দশমিক ৯, ভুটানের ৩ দশমিক ২, শ্রীলঙ্কার ২ দশমিক ১ এবং মালদ্বীপের ১১ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের হিসাব সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) চেয়ে কম। গত জুনে বাজেট প্রাক্কলনে সরকারের অনুমানে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং গত সেপ্টেম্বরে এডিবি বলেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাব হচ্ছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে তা ৫ শতাংশ।