মৌলভীবাজারে বন্যার্তদের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছে জেলার পুলিশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। বড়লেখা, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর ও জুড়ী উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব উপজেলায় নারী-শিশুসহ প্রায় ৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে কাজ করছে জেলা পুলিশ মৌলভীবাজারের কুইক রেসপন্স টিম।

মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে এসবের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে।

বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর অফিসার ইনচার্জদের নেতৃত্বে থানা-পুলিশ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সর্বদা তৎপর রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সুযোগে কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না করতে পারে, সেদিকেও লক্ষ রাখা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তা ও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ‘বন্যা মনিটরিং সেল’ চালু করা হয়েছে। বন্যা মনিটরিং সেলের হটলাইনে ফোন করে সহায়তা চাইলে দ্রুত উদ্ধারকারী দল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় সাহায্য।

বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় রাখা হচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে আছে জেলা পুলিশ। যেকোনো সহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’