গ্রেপ্তার করে হোসনে আরাকে বড়াইগ্রাম থানায় আনা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামে প্রেমিকার বাড়ির আঙ্গিনায় মাটির ১০ ফুট নিচ থেকে মো. শাহিন শাহর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে প্রেমিকা হোসনে আরা খাতুনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে শাহিনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শাহিন শাহ নাটোর সদর উপজেলার দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার আলী শাহর ছেলে। তিনি নাটোর কোর্টে উকিলের মুহুরি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

আর হোসনে আরা খাতুন বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী।

জানা গেছে, গত সোমবার (৭ আগস্ট) থেকে শাহিন শাহ নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) তার বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এছাড়া র‌্যাব-৫ সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

এ অবস্থায় অভিযোগ পাওয়ার পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম জলন্দা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় হোসনে আরা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শাহিনের খোঁজ পাওয়া যায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির আঙ্গিনায় টিউবওয়েলের গোড়ায় গর্ত খুঁড়ে শাহিনের মুখ, হাত ও পা বাঁধা এবং গলায় দড়ি লাগানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ৩ সন্তানের জননী হোসনে আরার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন শাহিন শাহ। গত ৬ মাস ধরে তাদের মধ্যে এ সস্পর্ক চলছিল। কিন্তু ইদানীং সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে আসেন শাহিন। এক পর্যায়ে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শাহিন শাহকে অচেতন করেন হোসনে আরা। এরপর তার প্যান্টের সঙ্গে থাকা বেল্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শাহিন শাহর মরদেহটি বাড়ির আঙ্গিনায় নলকুপ মেরামতের জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে ১০ ফুট মাটির নিচে পুঁতে ফেলেন হোসনে আরা ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন।

এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম মামলা হয়েছে।