টানেল উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশ নেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত সবাই। ছবি-সংগৃহীত

বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম যোগাযোগ পথ টানেলের ফলক উন্মোচন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সড়ক টানেলের উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

আজ শনিবার বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে সুইচ টিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ফলক উন্মোচন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। টানেলের প্রবেশমুখের ডান পাশে এই নামফলক স্থাপন করা হয়। একই ধরনের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার টানেলের টোল প্লাজা এলাকায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের খননকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। নির্মাণকাজ শুরুর প্রায় সাড়ে চার বছর পর টানেলের উদ্বোধন করা হলো। আজ উদ্বোধন হলেও গাড়ি চলাচল শুরু হবে কাল রোববার সকাল ৬টা থেকে। ফলক উন্মোচনের পর মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

টানেল উদ্বোধনের পর আতশবাজি পুড়িয়ে উদ্‌যাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত অতিথিরা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।

এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছান। পরে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে যান। সেখানে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলের উদ্বোধন করেন। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িবহর টানেলের ভেতরে প্রবেশ করে। টানেল দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারা টোল প্লাজায় যান। সেখানে টোল প্রদান করেন। টোল কালেক্টর ঝুমুর আক্তার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে টাকা নিয়ে রসিদ দিলে হাত তুলে তা দেখান শেখ হাসিনা। এরপর তিনি টোল প্লাজা কমপ্লেক্স ও টানেলের স্মার্ট মনিটরিং রুম পরিদর্শন করেন।

টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে জনসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।

দেশের প্রথম টানেলের সংযোগ সড়কসহ মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। প্রধান টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা।

আনোয়ারা প্রান্তে থাকা একমাত্র ভায়াডাক্ট বা ওভারপাস ৭২৭ মিটার দীর্ঘ। টানেলের ভেতরে থাকা দুটি টিউব বা সুড়ঙ্গের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেন রয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো।