ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য সরকারকে একটি ‘শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি’ গঠন করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। খবর বাসসের।

রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ জানান, আগের আদেশ অনুযায়ী, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন আদালত। ওই দিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের আঙুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।