বঙ্গবন্ধুকে ট্রাফিক পুলিশের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতে পুলিশ সুপার ট্রেনিং মোহাম্মদ আবদুল হালিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১ ঘণ্টাব্যাপী সেশন পরিচালনা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস) মূলত ট্রাফিক কনস্টেবল, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টদের দক্ষতা, রিফ্রেশার ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই বছর জানুয়ারি মাস থেকে তাঁদের মাঝে দেশপ্রেম তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ মডিউলের বাইরে ১ ঘণ্টার আলোচনা সভা ও ওয়ার্কশপের।

পুলিশ সুপার ট্রেনিং মোহাম্মদ আবদুল হালিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিটি কোর্স শুরুর প্রারম্ভে বঙ্গবন্ধুর ওপর ১ ঘণ্টাব্যাপী সেশন পরিচালনা করা হয়। এই সেশন পুলিশ সুপার ট্রেনিং নিজেই পরিচালনা করে থাকেন।

দেশের নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম, অবদান ও কীর্তি সম্পর্কে জানা এবং অধ্যয়নে অনুপ্রাণিত করার জন্যই নেওয়া হচ্ছে নিত্যনতুন প্রোগ্রাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজ টিডিএসে আরআরএফ ও টিডিএস নায়েক ও কনস্টেবলদের নিয়ে স্মার্ট পুলিশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে মুক্ত আলোচনা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পুলিশ সুপার ট্রেনিং মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে কুইজের আয়োজন করা হয়।

টিডিএস মুখপাত্র ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোর্স পরিচালক পুলিশ সুপার ট্রেনিং বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সবসময় উনার ভাষণে পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে বলেছেন। উনার সেই উদাত্ত আহ্বানকে আমাদের স্কুলে ট্রেনিং নিতে আসা বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের মাঝে অনুপ্রাণিত ও চাকরিস্থলে বাস্তবায়ন করতেই এই প্রোগ্রামগুলো হাতে নেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পুলিশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা স্কুলে নানা বাস্তবমুখী মডিউল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ট্রাফিক পুলিশ ও আরআরএফ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানামুখী সেমিনার, আলোচনা ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়।