মাস্টার প্যারেডে বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম বলেছেন, পুলিশের কাজ হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্যারেডের বিকল্প নেই। ফিজিক্যাল ফিটনেস ও মাঠ পর্যায়, দুই ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা থাকতে হবে।

মাস্টার প্যারেডে অভিবাদন গ্রহণ করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। এ সময় প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠ ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট মাঠে প্যারেড করার নির্দেশ দেন তিনি।

মাস্টার প্যারেডে ডিএমপি কমিশনার অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কন্টিনজেন্ট এবং প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি।

মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামনে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে। এসব রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। সরকারি সম্পত্তি ও জনগণের সম্পত্তি হেফাজত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জন্য অনেক কিছু করছেন। না চাইতেই অনেক কিছু দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এর প্রতিদান হিসেবে ২ কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সবাইকে একটি টিম হয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে, সে দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। নগরবাসীর আস্থা অর্জনে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

প্যারেডে অংশ নেওয়া অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বুলেটটি ছোঁড়া হয় রাজারবাগের পুলিশের অস্ত্র থেকে। ওই প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন রাজারবাগের অনেক সাহসী বীর পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে হলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে।

প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম (সেবা) ও সহকারী প্যারেড কমান্ডার ছিলেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ফোর্স) মো. শরিফুল আলম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার) পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপপুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ মাস্টার প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন।