ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ বাংলাদেশসহ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে সরবরাহ করতে পারবে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা।

আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গোষ্ঠী মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে লাইসেন্স ভাগাভাগির আওতায় দ্বিতীয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয়। খবর রয়টার্সের।

স্বেচ্ছায় লাইসেন্সিং ভাগাভাগির যে চুক্তি হয়েছে, তার আওতায় জাতিসংঘ-সমর্থিত এমপিপি ফাইজারের পিএফ-০৭৩২১৩৩২ ওষুধটির নিজস্ব সংস্করণ তৈরিতে যোগ্য জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের ‘সাব-লাইসেন্স’ দিতে পারবে।

‘প্যাক্সলোভিড’ ব্র্যান্ড নামে পিলটি প্রস্তুতকারকদের কাছে বিক্রি করবে ফাইজার।

এই ৯৫টি দেশের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ওষুধটি বিক্রিতে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বেশ কম দামে ওষুধটি মিলতে পারে।

চুক্তির আওতায় অন্য দেশগুলোও তত দিন রয়্যালটি ছাড় পাবে, কোভিড যত দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘জনস্বাস্থ্য জরুর ‘ পরিস্থিতি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত থাকবে।

কোভিড-১৯ টিকার অন্যতম শীর্ষ প্রস্তুতকারক ফাইজার বলছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই পিল মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সুযোগ ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে।

এইচআইভির জেনেরিক ওষুধ রিটোনাভিরের সঙ্গে যুক্ত করে ওষুধটি কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।

ফাইজারের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক অ্যান্ড কো. একই প্রক্রিয়ায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জেনেরিক ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ তৈরির লাইসেন্স দিয়েছে। ওষুধটি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি তৈরি করে বাজারেও এনেছে।

কোভিডের কার্যকর চিকিৎসার হাপিত্যেশের পাশাপাশি খুবই কম দামে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে প্রস্তুতকারকদের ওপর চাপ রয়েছে বলে লাইসেন্স ভাগাভাগির এই ‘অস্বাভাবিক’ উপায় বের করা হয়েছে।