প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের অভিযানে মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, ওয়াকিটকি, পুলিশের ব্যবহৃত বিশেষ পোশাক, হাতকড়াসহ চার ডাকাত গ্রেপ্তার হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদপুর জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার করিমপুর এলাকায় পুলিশ পরিচয় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেলের চালকের সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে চালকের বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর নিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে কানাইপুরের কাছাকাছি তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ। সেখানে সন্দেহজনক একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত জুয়েল, বাবুল, আশিক ও ইমরানকে আটক করে। জিজ্ঞসাবাতে তারা ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানায়, তাদের ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেলটি ঢাকার সাভারে আছে। তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও একই জায়গায় রয়েছে বলেও জানায় তারা। পরে সাভার থেকে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনসহ নয়জন জড়িত। তাদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত ওই পাঁচজন যে ডাকাত দলের সদস্য, তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে জুয়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। আর বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সাতটি মামলা। তারা পুলিশ ও র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি ও ছিনতাই করত।