পুলিশের হেফাজতে আটক দুই ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে বেড়ানো একাধিক ডাকাতি ও খুনের মামলার দুই আসামিকে আটক করেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা-পুলিশ।

আটক ডাকাতেরা হলেন বরগুনা জেলার মো. শাহ আলম আকন ওরফে কালু (৩৫) ও মো. আবুল কালাম (৫০)। গতকাল ভাঙ্গা থানার মুনসুরবাদ এলাকার ঢাকা-খুলনা হাইওয়ে রাস্তার ওপর থেকে বেলা পৌনে দুইটার সময় তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, প্রায় ৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ফরিদপুরে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, ১২ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার সময় ৬ জন ডাকাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে থেকে শহিদুল নামের এক যাত্রীকে তাঁদের মাইক্রোবাসে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওঠান। এরপর হাত, পা, চোখ বেঁধে তাঁকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ও জখম করে তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের কাছ থেকে আরও ৪৩ হাজার টাকা নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। এ সময় শহিদুলের পরিবারের কাছে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলে তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাকে বিষয়টি অবগত করেন।

এরপর ভাঙ্গা থানা-পুলিশ বিষয়টি জেনে প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে তাঁদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের মুনসুরবাদ এলাকার চেকপোস্টের কাছে ধরে ফেলে। গাড়ি রেখে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে দুই ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা দেশের বিভিন্ন জেলার হাইওয়েতে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের যাত্রী সেজে লোকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ডাকাতি করতেন। তাঁদের মধ্যে খুন, ডাকাতিসহ আসামি মোহাম্মদ শাহ আলমের নামে ২১ মামলা এবং মো. আবুল কালামের নামে ৮টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং গ্রেপ্তার আসামিদের বিধি মোতাবেক আদালতে পাঠানো হয়েছে।