ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার অভিযানে গ্রেপ্তার আসামি ও উদ্ধারকৃত মালামাল। ছবি: পুলিশ নিউজ

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষ হত্যা মামলার মূল রহস্য দুই দিনের মধ্যে উদঘাটনের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু মালামাল।

আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই শামীম হাসান বাদী হয়ে গত রোববার হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ডিএমপির কদমতলী থানাধীন জুরাইন এলাকার দেওয়ান বাড়ির ষষ্ঠ তলা থেকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে আসামি রোজিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামি রোজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ১০ থেকে ১২ বছর ধরে গোয়ালন্দঘাট দৌলতদিয়া পতিতাপল্লিতে আছেন। তাঁর বয়স যখন ১৪ বছর, তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর তাঁর বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তী সময়ে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লির চায়ের দোকানদার হাকিমের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। হাকিম মারা যাওয়ার পর তিনি জনৈক সুজনকে বিয়ে করেন।

আসামি আরও জানান, হত্যার শিকার মিলন প্রামানিকের বাড়ি পাবনা সদর হলেও রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করতেন এবং মাঝে মাঝে যৌনপল্লিতে যেতেন। ২৬ জানুয়ারি মিলন আসামির ভাড়া বাসায় যান এবং রাত দুইটার দিকে তাঁদের মধ্যে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মিলন আসামির মাকে তুলে অশ্লীল ভাষায় গালি দিলে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচ দিয়ে মিলনকে হত্যা করেন।