মোহাম্মদপুর থানা। ছবি : ডিএমপি

কখনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কখনো ঠিকাদার, আবার কখনো ব্যবসায়ী পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ ফেলতেন নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। ২৩টির বেশি প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন লাখ লাখ টাকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, ধরা পড়েছেন মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের হাতে।

ডিএমপি জানায়, গত ২ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি নম্বরবিহীন প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। আসামির বাড়ি পিরোজপুরের আদর্শপাড়ায়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মোহাম্মদপুরের টাউনহলে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানে আরমান নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ঠিকাদারের পরিচয় দেন। দু-এক দিনের মধ্যে ১১ লাখ টাকার পণ্য নেওয়ার কথা বলেন। দুই দিন পর ওই দোকানের মালিককে কল করে বেশ কিছু পণ্য ভাষানটেকের ঠিকানায় সরবরাহের কথা বলেন। পরে পিকআপ ভ্যানে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪০ টাকার মালামাল পাঠান দোকানমালিক। এরপর আরমান নামের ওই ব্যক্তি সব মালামাল ভাষানটেকের আরেকটি দোকানে বিক্রি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।

ওসি আরও বলেন, তদন্তের এক পর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ডিএমপির আসামি শনাক্তকরণ সফটওয়্যার এসআইভিএসের মাধ্যমে আসামির প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আসামি কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র, আবার কখনো জন্মসনদ ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করেছেন। এরপর পরিস্থিতি বুঝে কখনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কখনো ঠিকাদার, আবার কখনো ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণা করতেন। এ ছাড়া তিনি ভুয়া ফেসবুক পেজে ইলেকট্রিক পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতেন আসামি। এখন পর্যন্ত ২৩টির বেশি প্রতারণা করেছেন তিনি।

মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।