সিআইডি পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার সাতজনের ৪ জন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক এবং সরকারি কর্মকর্তা সেজে কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের পৃথক ২টি মামলায় প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিরিয়াস ক্রাইমের একটি চৌকস দল ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকা থেকে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রতারকেরা বিকাশের কর্মকর্তা সেজে প্রবাসী কার্ড নামক মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে বিকাশের বিটুবি নম্বর ক্লোন করে ভিকটিমকে ফোন দেয় এবং ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে মোবাইলের ওটিপি নম্বর নিয়ে কৌশলে ওই বিকাশ এজেন্টের সর্বমোট ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় লালবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এই মামলায় সিআইডি মো. মোস্তাক, আব্দুল হালিম ফরাজী, মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ও মো. সুজন শেখকে আটক করে।

অন্য আরেকটি ঘটনায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রথমে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের নামের তালিকা বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সরকারি কর্মকর্তা সেজে মোবাইলে কল দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান পেয়েছে মর্মে সরকারি কর্মচারীদেরকে আশ্বস্ত করেন এবং তাদের এটিএম কার্ড থাকলে সেই কার্ডের নম্বর প্রতারকদের কাছে পাঠাতে বলে। ভিকটিমরা সরল বিশ্বাসে এটিএম কার্ডের নম্বর তাদেরকে দিয়ে দেয়। প্রতারকেরা এক পর্যায়ে সুকৌশলে তাদের মোবাইল ফোনে প্রতারকদের পাঠানো ওটিপি নম্বর জেনে নেয়। এভাবে প্রতারকেরা সর্বমোট ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় রামপুরা (ডিএমপি) থানায় মামলা হয়। এই ঘটনায় হৃদয় মাতুব্বর ওরফে হেলাল মাতুব্বর, মো. তুহিন সরদার ও মো. সজিব আকন্দকে আটক করেছে সিআইডি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।