পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এনডিসি টিম ও পুলিশের কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ‘এনডিসি কোর্স-২০২২’ এর প্রশিক্ষণার্থীরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন। মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকের নেতৃত্বে আজ বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেন তারা।

পরিদর্শনকালে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএমের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের প্রধান মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় উভয়ে শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করেন।

এনডিসি টিমের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন উপলক্ষে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিঅ্যান্ডপিএস) বেলাল উদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশের মিশন, ভিশন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অনবদ্য ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেন। এসময় বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস, সেবা কার্যক্রম, সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত পদক্ষেপ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার ওপর চারটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

পরে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরৃ অপরাধ দমন, কমিউনিটি পুলিশিং, পুলিশি সেবা প্রদান, সাইবার ক্রাইম, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চান।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, এনডিসি টিমের এ সফর বাংলাদেশ পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি বলেন, এ ধরনের সফর সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতি বাড়াবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে এক সাথে কাজ করার পথ ভবিষ্যতে আরও অবারিত করবে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএমের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের প্রধান মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

প্রতিনিধিদলে সশস্ত্র বাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ এবং মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, মালি, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাঞ্জানিয়া ও জাম্বিয়ার ১৭ জনসহ ৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন।