সিলেজ সাইট নামের অনলাইন ইনভেস্টমেন্ট ব্যবসায় সাধারণ মানুষদের অনলাইনের মাধ্যমে আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চক্র অধিক মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে প্রথম দিকে কিছু পরিমান মুনাফা দিয়ে পরে অধিক ইনভেস্টমেন্ট সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটটি ডিজেবল করে দিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে। এই কাজে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এজেন্ট নিয়োগ করে নগদ/বিকাশ/ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারা এই টাকা সংগ্রহ করে থাকে।

সাইবার পুলিশ সেন্টারের কাছে এ-সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগ আসে। এ ছাড়া ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে গত ২৭ জুলাই সিলেজ সাইটের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করেন।

সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার মনিটরিং শাখা প্রাপ্ত অভিযোগ তিনটি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বরিশাল জেলায় অভিযান পরিচালনা করে রনি খান (৩২), আরজু আক্তার (২৭) ও তাসনিম রহমান (২৫) নামের তিনজন বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/নগদ/বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা ক্যাশ করে দুবাইপ্রবাসী সানজিদা ও তাঁর স্বামী আশিকের নির্দেশে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তা জমা করে দেন। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা প্রদানের ডিপোজিট স্লিপের তথ্য পাওয়া যায়। তাঁদের বর্ণনা অনুযায়ী তিন-চার মাসে তাঁরা প্রায় চার কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল, তিনটি বিকাশ/নগদ এজেন্ট সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক বই এবং ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৩০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।