যশোর ডিবি ও শার্শা থানা-পুলিশের অভিযানে ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম স্বর্ণসহ দুজন স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।

১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে শার্শা থানাধীন জামতলা বাজার-সংলগ্ন যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে পুলিশ ও যশোর ডিবি রাতে চেকপোস্ট পরিচালনার সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরের দিকে একটি প্রাইভেট কার আসতে দেখে তল্লাশি করে। প্রাইভেট কারে চালক ও একজন যাত্রী ছিলেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁদের কাছে স্বর্ণ আছে বলে স্বীকার করেন। তখন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ করা স্বর্ণের বার। ছবি : যশোর জেলা পুলিশ

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন রবিন (৩২), তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সাতারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আবুল কাশেম (৩১), তিনি একই থানার পাঁচগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারের সময় সড়কের দুই প্রান্ত দিয়ে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন এসে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ককটেল বিস্ফোরণে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়লে সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে গ্রেপ্তার আসামিদের শরীরে এবং গাড়ির মধ্যে বিশেষ কায়দায় রাখা ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৭ কোটি ৫৭ লাখ ১২ হাজার ৬৮০ টাকা। এ ছাড়া একটি প্রাইভেট কার, তিনটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

জব্দ করা স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি : যশোর জেলা পুলিশ

যশোর পুলিশ সুপার মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে সড়কের পাশে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলের নিচে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কাছের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর নাম ওলিয়ার ওরফে ওলি মাকরা (৩৬)। তিনি যশোরের বেনাপোল থানার রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।