রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে মঞ্চায়িত হলো বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের সাড়া জাগানো নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্টে সপরিবারে হত্যার নির্মম ঘটনার ওপর নির্মিত এ নাটকের ১৩০তম মঞ্চায়ন হলো। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের।

দর্শকনন্দিত এ নাটক প্রদর্শনের সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।

নাটকটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের বিভিন্ন ঘটনাসহ ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ওপর নির্মিত হয়েছে। সেই ঘটনাবলির দৃশ্য মঞ্চায়নের মাধ্যমে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে।

মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যায়নে অতিথিসহ দর্শকদের অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নাটক শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাঁদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হন।

ইতিহাসের এমন একটি করুণ ঘটনাকে মঞ্চের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসার বাংলাদেশ পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান অতিথিরা। নাটকে অংশগ্রহণকারী কুশীলবদের প্রশংসাও করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

নাটকটি মঞ্চস্থের শেষে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

১৫ আগস্টে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, তা এখন ইতিহাসের পাতায়। বিষয়টি তুলে ধরার জন্য জাতির পিতার জীবন ও কাজ নিয়ে পুলিশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে। ১৫ আগস্টের ঘটনায় হত্যা মামলার নথিপত্র ও বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এ নাটক রচনা করা হয়েছে।

‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নাটকটির গবেষণা ও তথ্য সংকলন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুর রহমান।

নাটকটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব। শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’স্লোগানে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকটি মঞ্চায়নের সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজশাহীর সকল দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধিগণ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, শুভানুধ্যায়ীগণসহ রাজশাহীর সকল পুলিশ ইউনিটের পুলিশ ও নন-পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।