পুলিশি হেফাজতে চোর চক্রের ৬ সদস্য ও ৮টি মোটরসাইকেল। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৮ মে) কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ জানায়, ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিরা হলেন কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকার মো. সাদেক (৩৫) ও মো. আবু সাঈদ (২৪), নোয়াখালীর সুধারাম থানা এলাকার মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মঞ্জু (২৩) ও নুরে আলম (২৬), চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানা এলাকার আমানুল্লাহ (২১), ফরহাদ হোসেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোটরসাইকেল চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১২ এপ্রিল সকালে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন আরশিনগর এলাকা থেকে সাংবাদিক ফয়সাল ও আলী হোসেনের বাসার গেট ভেঙ্গে দুটি মোটরসাইকেল চুরি করেন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ভুক্তভোগীরা মামলা করেন। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুরির রহস্য উদ্ঘাটন করতে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আলী হোসেনের চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও একটি আন্তজেলা চোর চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার এবং চক্রের সদস্যদের ধরতে তদন্ত অব্যাহত রাখে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তাঁরা মোটরসাইকেল চোর চক্রের একটি আন্তজেলা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন। আসামিরা ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে চাঁদপুরের শাহারাস্তি থানা এলাকার নিজস্ব ওয়ার্কশপে নিয়ে আসতেন। পরে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো সম্পূর্ণভাবে খুলে পরিবর্তন করে ফেলতেন। তারপর কাস্টমসের নিলাম থেকে মোটরসাইলেগুলো কেনা হয়েছে জানিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করতেন।

পুলিশ জানায়, এই মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।