যশোরের কোতোয়ালি থানার অভিযানে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: পুলিশ নিউজ

যশোরের কোতোয়ালি থানাধীন ঝুমঝুমপুর মান্দিয়ায় শ্বাসরোধ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন উদ্ধারের পাশাপাশি এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মান্দিয়া জামে মসজিদের উত্তর পাশে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন মরদেহটি মহাসিন মন্ডলের (৪৭) বলে শনাক্ত করেন।

মরদেহটির গলা তার দিয়ে প্যাঁচানো, হাত-পা তার দিয়ে বাঁধা, থুতনির নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত পেট্রল দিয়ে পোড়ানো ও শরীরে জামাকাপড় ছিল না। মহাসিন মন্ডলকে হত্যা করে লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে হত্যাকারী বর্ণিত স্থানে ফেলে রেখে যান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. কোরবান (৪১) কোতোয়ালি মডেল থানায় শনিবার মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন খয়েরতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে হত্যার আসামি মেহেদী হাসান লিখনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, আসামির ব্যবহৃত জুতা, ভুক্তভোগীর মৃতদেহ গুমের কাজে ব্যবহৃত ট্রাংক, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করা হয়। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।