পুলিশি হেফাজতে প্রতারক চক্রের তিন সদস্য। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট নামের একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টগেশন (পিবিআই)। চক্রটি বহুমাত্রিক ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিপিএম (সেবা) জানান, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন আব্দুল বারী ওরফে আফছার উদ্দিন খান ওরফে মো. বজলুর রহমান মাসুদ ওরফে বারেক (৬৫), মো. রাশেদ ওরফে রাসেল (৩৭) ও মো. নাঈম (৪৩)। আব্দুল বারীর বিরুদ্ধে ছয়টি প্রতারণার মামলা আছে।

বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিপিএম (সেবা) জানান, সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপন দেখে জমি কেনার প্রস্তাব দেন প্রধান আসামি আব্দুল বারী। এ জন্য ভুক্তভোগীকে জমির কাগজপত্র নিয়ে বিমানবন্দর থানাধীন ১ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের অফিসে আসতে বলেন। গত ১৭ জুলাই ওই অফিসে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা।

এক পর্যায়ে আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৫) জানান, একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী দামি হাতঘড়ি কিনবেন এবং এসব ঘড়ি সরবরাহ করতে পারলে সাড়ে ৬ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। এরপর ওই কথিত ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে আসেন মোয়াজ্জেম। এ সময় ওই ব্যক্তি আব্দুল বারীকে অগ্রিম ৩৫ লাখ টাকা দেন এবং ঘড়ি পেয়ে বাকি টাকা দেবেন বলে জানান। এ সময় ভুক্তভোগীকে এই ব্যবসার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেন আসামি আব্দুল বারী। প্রলোভিত হয়ে পরের দিন ১৮ জুলাই আসামিকে ২০ লাখ টাকা দেন ভুক্তভোগী।

এ সময় আসামিরা সন্দেহজনক আচরণ করতে থাকেন। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আসামি মোয়াজ্জেমকে আটক করেন ভুক্তভোগী। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা করে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি রাশেদ ও নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৯ নম্বর সেক্টরের ৭/ডি রোডের একটি বাড়ি থেকে প্রধান আসামি আব্দুল বারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।