ঢাকা, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদার রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র, ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলি মুন্সি মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আনোয়ার আহমেদ স্বপন (৪২), তিনি সদর উপজেলার গাফুরিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা। আশিক মালিথা (২৮) ও আলিফ মালিথা (২২)। তাঁরা পৌর সদরের চক ছাতিয়ানি মহল্লার বাসিন্দা।

এ ছাড়া রিপন খান (২৭), তিনি কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। নুরুজ্জামান রাকিব (২৪) ও ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি (২৬)। তাঁরা গোপালপুর মাটি সড়ক মহল্লার বাসিন্দা।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ঢাকা, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে ৩ দিন ও ৪ জনকে ২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

৯ সেপ্টেম্বর পাবনার সদর উপজেলার চরবাঙ্গাবাড়ি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে পাবনা সদর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদার রহমান মালিথা (৪৫) নিহত হন।

পুলিশ সুপার বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন মালিথার সঙ্গে বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান ওরফে সায়দার মালিথাসহ তাঁর লোকজনদের আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ বিঘা সম্পত্তি দখল করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাউদ্দিন মালিথা হেরে গেলে ওই সম্পত্তি তাঁর চাচাতো ভাই সাইদার মালিথা ও তাঁর লোকজন নিজেদের দখলে নিয়ে চাষাবাদ করেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সবশেষ ৮ সেপ্টেম্বর আলাউদ্দিন মালিথার ভাই সঞ্জু মালিথাকে হেমায়েতপুর মন্ডল মোড়ে সাইদার মালিথার লোকজন মারধর করেন। এর জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাইদারের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পাবনা সদর থানায় আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।