পাপুয়া নিউগিনির প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে সংঘর্ষ। এবার দেশটির হাইল্যান্ডে অতর্কিত গোলাগুলিতে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির রাজধানী পোর্ট মরেসবি থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওয়াবাগ শহর থেকে পুলিশ নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার শুরু করেছে।

রয়েল পাপুয়া নিউগিনি কনস্টাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাস বলেন, এটিই সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড, এর আগে এত মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। এ ঘটনায় আমরা এক প্রকার বিধ্বস্ত এবং মানসিক চাপে আছি। সেই সাথে সেখানকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।

জমি ও সম্পদের দখল নিয়ে দেশটির স্থানীয় উপজাতি গোষ্ঠী প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে গত বছরের জুলাইয়ে এই অঞ্চলে তিন মাসের জন্য লকডাউন জারি করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশ কারফিউ জারির পাশাপাশি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সম্প্রতিক বছরে অবৈধ অস্ত্র বেড়ে যাওয়ায় সহিংসতাও বেড়েছে, ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

এই অঞ্চলের গভর্নর পেটার ইপাতাস বলেন, তাঁদের মাঝে যুদ্ধ শুরু হতে পারে, এ জন্য অতর্কিত হামলা বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনিতে নিরাপত্তা বজায় রাখা খুবই কঠিন। দেশটিতে গত মাসে বড় ধরনের দাঙ্গা ও লুটপাটের কারণে ১৫ জন নিহত হওয়ার পর সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। সূত্র: বিবিসি।