পাখিসহ বন্য প্রাণী সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশে এয়ারগান ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

সারা দেশেই এয়ারগান একটি পরিচিত আগ্নেয়াস্ত্র। অনেকের বাড়িতেই এই অস্ত্র রয়েছে। সচরাচর পাখি শিকারেই এই অস্ত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে; যদিও পাখি শিকার নিষিদ্ধ।

শীতকালে অতিথি পাখি আসার মৌসুমে পাখি শিকার বেড়ে যায়, তার আগেই এয়ারগানের ওপর নিষেধাজ্ঞা এল।

রাষ্ট্রপতির আদেশের কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত কবার লক্ষ্যে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৪৯ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শুটিং ক্লাব, বনাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “তবে শর্ত থাকে যে, জাতীয় শুটিং ফেডারেশন কর্তৃক নিবন্ধিত শুটিং ক্লাব ও বনাঞ্চল সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী তাদের নিরাপত্তা, দৈনন্দিন প্রয়োজন ও সামাজিক প্রথার কারণে উক্তরূপ নিষেধাজ্ঞার আওতার বহির্ভূত থাকিবে।”