জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় সোমবার সিসিটিভি মনিটরিং সেন্টার ও কনফারেন্স রুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম। ছবি: জয়পুরহাট জেলা পুলিশ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় আজ সোমবার সিসিটিভি মনিটরিং সেন্টার ও কনফারেন্স রুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম।

ওই থানা-পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, পিপিএম-সেবা।

সিসি টিভি মনিটরিং সেন্টার সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলেও এর কার্যক্রম আগেই শুরু হয়েছিল। এই কার্যক্রম শুরুর আগে থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতি মাসে থানা এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় একাধিক ছিনতাই, চুরিসহ মাদক চোরাচালান এবং পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাদকসেবীদের আনাগোনা হতো। এতে করে পাঁচবিবি থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। প্রতি মাসেই দু-তিনটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যেত। এসব ঘটনা তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ সিসি ক্যামেরার ব্যাপক গুরুত্ব উপলব্ধি করে পাঁচবিবি থানার পুলিশ। ২০২১ সালের জুন থেকে এখন পর্যন্ত আটটি ইউনিয়নে ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান হাবিবের সহযোগিতায় পৌরসভায় ১০৮টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উক্ত কাজে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাজার, ব্যাংক, বীমা অফিস, মৎস্য খামারে আরও ৩০৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে সক্ষম হয় পাঁচবিবি থানা-পুলিশ। ফলে গত ৮/৯ মাসে কোনো অজ্ঞাত লাশ পাওয়া যায়নি। আগের থেকে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। চুরি, ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় সোমবার সিসিটিভি মনিটরিং সেন্টার ও কনফারেন্স রুমের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: জয়পুরহাট জেলা পুলিশ

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগে পাঁচবিবি থানার পুলিশ একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দৃষ্টি রাখতে পারবে। সিসি টিভি মনিটরিং সেন্টার বড় বড় ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই প্রথম কোনো জেলার কোনো থানা পর্যায়ে সিসি টিভি মনিটরিং সেন্টার চালু হলো। এর উপকারিতা অনেক। এর মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত খুব সহজে করা যাবে। আসামি শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সিসি টিভি মনিটরিং সেন্টার। তিনি আরও বলেন, তিনি জয়পুরহাট জেলাকে রেঞ্জের মডেল হিসেবে দেখতে চান এবং সেই অনুযায়ী জয়পুরহাট জেলাকে মডেল জেলা হিসেবে উপস্থাপন করে রেঞ্জের অন্যান্য জেলাকে জয়পুরহাট জেলার মতো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা দেন।