প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, বিপিএম (বার)। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ২৪ জুলাই রাজধানীর পল্টনে পুলিশের ওপর বোমা হামলা হয়েছিল। এ ঘটনায় নব্য জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার। তিনি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার মেরকোট গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, বিপিএম (বার)।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর দারুস সালাম থানার মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মূলত নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে জন-এর নির্দেশে সামরিক শাখায় কাজ করতেন। ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন এবং ফেসবুকে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি টেলিগ্রাম চ্যানেল ও বটের মাধ্যমে নব্য জেএমবির অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনের সামরিক শাখার কাজ পরিচালনা করতেন।

সংগঠনের অপর সদস্য আবু মোহাম্মদের নির্দেশে আব্দুল্লাহ আল নোমান ঢাকার মান্ডা এলাকায় এককভাবে রুম ভাড়া করেন। আবু মোহাম্মদ তাঁকে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর ভিডিও টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠান। আইইডি তৈরির ভিডিও দেখে তিনি এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন এবং পরবর্তীকালে আবু মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছিরকে আইইডি বানানোর জন্য টাকা প্রদান করেন। পরে তিনি ভিডিও দেখে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করেন এবং আইইডি তৈরি করেন। আব্দুল্লাহ আল নোমানকে তাঁর পছন্দমতো এলাকায় উক্ত আইইডি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পাওয়ার পর পল্টন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের আশপাশে সিসি ক্যামেরা না থাকায় আইইডিটি পুরানা পল্টন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটান।

তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছিরকে ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৫ মাস পর জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় নব্য জেএমবির সঙ্গে সক্রিয় হন তিনি।

গ্রেপ্তার আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।