কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়। এ সময় দায়িত্ব পালন করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। ছবি: ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের ফেসবুক পোস্ট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর আবারও পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় শুরু করেছেন পর্যটকেরা। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে ১৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) এসব পরামর্শ পোস্ট করা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সৈকতে বেড়াতে আসা সব পর্যটককে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের বাম পাশে ও সুগন্ধা পয়েন্টের ডান পাশে, অর্থাৎ ঝাউবন, সি-গাল ও জলতরঙ্ক সোজাসুজি পানিতে নামার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। এসব এলাকায় পানির নিচে অনেক গর্ত রয়েছে।

পর্যটকদের সাগরের পানিতে নামার আগে জোয়ার, নাকি ভাটা চলছে, তা নিশ্চিত হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। জোয়ার-ভাটা বোঝার সুবিধার্থে সৈকতে বালুচরে ওড়ানো পতাকার দিকে নজর রাখতে হবে। সবুজ পতাকা ওড়ার অর্থ জোয়ার চলছে, আর লাল পতাকা ভাটার সংকেত। ভাটার সময় সাগরে নামা বিপজ্জনক।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পরামর্শে আরও বলা হয়েছে, সৈকতের তীরবর্তী এলাকায় অনেক জায়গায় পানির নিচে বিপজ্জনক গর্ত বা গুপ্ত খাল রয়েছে। সতর্কতার জন্য সেসব জায়গায় লাল পতাকা আছে। এ ছাড়া সাগরে নামার সময় পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। শিশুদের কিছুতেই লাইফ জ্যাকেট ছাড়া পানিতে নামতে দেওয়া যাবে না। নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে।