পরিবেশদূষণের কারণে ২০১৯ সালে বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু বায়ুদূষণেই মারা গেছে ৬৭ লাখ। ১৮ মে (বুধবার) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মৃত্যুর এই সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞরা বাতাসে ‘ভয়াবহ’ বিষাক্ত সিসার উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। খবর বাসসের।

মানবসৃষ্ট বর্জ্য বাতাস, পানি, মাটি দূষিত করে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এতে মানুষ মারা যায় না। পরিবর্তে এটি হৃদরোগ, ক্যানসার, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার সৃষ্টি করে।

দূষণ এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক ল্যানসেট কমিশন বলেছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যের ওপর দূষণের প্রভাব যুদ্ধ, সন্ত্রাস, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, যক্ষ্মা, ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের চেয়ে বেশি।’ এতে বলা হয়, দূষণ ‘মানব স্বাস্থ্য এবং এই গ্রহের অস্তিত্বের জন্য হুমকি এবং এটি আধুনিক সমাজের স্থায়িত্বকে বিপন্ন করে তোলে।

সাধারণভাবে পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণে বিশ্বব্যাপী মোট ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মৃত্যু। উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি ও জৈব জ্বালানি পোড়ানোর কারণে।

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলিউশন-এর রিপোর্টের মূল লেখক রিচার্ড ফুলার বলেছেন, ‘যদি আমরা পরিষ্কার ও সবুজায়নের দিকে এগোতে না পারি, তাহলে বড় ভুল করব। তা না হলে রাসায়নিক দূষণ বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’