স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এ উপলক্ষে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেতুর উভয় পাড়ে নেওয়া হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সেতুর দুই পাড়েই থাকবে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুম।

আজ সোমবার (২০ জুন) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর জাগো নিউজের।

সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিতভাবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফ আহমুদ।
তিনি জানান, সভায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ এবং অবস্থানকালে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশেপাশের এলাকায় নেওয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। সেতু সংলগ্ন পদ্মা নদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে শরীয়তপুরের জাজিরায় স্থাপন হয়েছে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এবং মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে স্থাপন হয়েছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা। উত্তর থানার আওতায় মুন্সিগঞ্জের মেদিনীমণ্ডল ও কুমারভোগ ইউনিয়ন আর দক্ষিণ থানার আওতায় থাকবে শরীয়তপুরের পূর্ব নাওডোবা ও পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়ন।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু ও তৎসংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তায় স্থাপিত এ দুটি থানা উদ্বোধন করবেন।

জানা গেছে, নৌ দুর্ঘটনা রোধে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে পদ্মায় চলাচল করা নৌযান ওভারলোড নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। অনুষ্ঠানস্থলে পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল থাকবে।

এছাড়া সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে আসা-যাওয়ার পথে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং অতিথিদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে। নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। এসময় পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবী থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে পানি, স্বাস্থ্যসেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্স ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জসহ পদ্মা সেতুর আশপাশের এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা, সিনিয়র সচিব, সেতু বিভাগের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।