পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) পণ্যের মান সনদ প্রদানের পাশাপাশি পণ্যের হালাল সনদ দেওয়া শুরু করেছে। ১১ এপ্রিল (সোমবার) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের তিনটি প্রতিষ্ঠানের নয়টি পণ্যের অনুকূলে হালাল সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসটিআইয়ের হালাল সনদ প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। খবর বাসসের।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. নজরুল আনোয়ার অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে হালাল সনদ তুলে দেন।

এ সময় ডিজি ড. নজরুল আনোয়ার বলেন, ‘হালাল-সংক্রান্ত তিনটি আন্তর্জাতিক মানকে বাংলাদেশ মান হিসেবে (বিডিএস ওআইসি/এসএমআইআইসি ১:২০২১, বিডিএস ওআইসি এসএমআইআইসি ২: ২০২১ আই বিডিএস ওআইসি এসএমআইআইসি ২৪:২০২১) অ্যাডপ্ট করেছে এবং উক্ত মান অনুসারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর হালাল মানসনদবিষয়ক সংস্থা স্মিক’র (এসএমআইআইসি) সদস্য হিসেবে এবং দেশীয় পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক জানান, হালাল সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, এফবিসিসিআই, বিসিআই, ডিসিসিআই, ক্যাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ফার্মাসি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও মাদ্রাসা-ই-আলীয়া, কওমি মাদ্রাসার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।