নৌ পুলিশের অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২২ লাখ ৮৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। এসব জালের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পটুয়াখালীতে দশমিনা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা দশমিনা থানার তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন পাতানো অবস্থায় দেড় লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন। এদিকে পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সদর থানার পায়রা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন পাতানো অবস্থায় ১৫ হাজার মিটার অবৈধ (কারেন্ট, বেহুন্দী) জাল জব্দ করেছেন।

বরিশালের হিজলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মেঘনা নদীসহ মেঘনার বিভিন্ন শাখানদীতে অভিযান চালিয়ে ৩৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন। বরগুনার চরদুয়ানী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন পাতানো অবস্থায় সাড়ে তিন লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি কারখানা থেকে অবৈধ কারেন্ট জালসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করেন নৌ পুলিশের সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চট্টগ্রামের বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আনোয়ারা থানার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাটসংলগ্ন চরে অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন পাতানো অবস্থায় ৮৫ হাজার মিটার অবৈধ চররঘেরা জাল জব্দ করেছেন। এদিকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার রামগোপালপুর বনিক্য পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কারখানা থেকে ছয় বস্তা অবৈধ কারেন্ট জালসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এবং পরিত্যক্ত ধানের চাতাল থেকে ১১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন। জব্দকৃত কারেন্ট জালের মোট দৈর্ঘ্য ১৬ লাখ ৫০ হাজার মিটার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, নৌ পুলিশের অভিযানে জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানের সময় ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের ওই কারখানার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।