পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণ ও এভিয়েশন সুবিধাসংবলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলার কমিশনিং করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চারটি প্যাট্রল ক্রাফট ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটিরও (এলসিইউ) কমিশনিং করেন তিনি।

বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ঘাঁটি অধিনায়ক কমোডর এম মহব্বত আলীর হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং আনুষ্ঠানিক নামফলক উন্মোচন করেন। খবর বাংলাদেশ জার্নালের।

একই সঙ্গে নৌবাহিনীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খুলনা শিপইয়ার্ডে প্যাট্রল ক্রাফট স্কোয়াড্রনের চারটি যুদ্ধজাহাজ বানৌজা শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিবুল্লাহ ও শহীদ আখতার উদ্দিন এবং চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইনের কমিশনিং করা হবে।

নৌবাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বানৌজা শের-ই বাংলা ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌ সদস্যদের প্রশিক্ষণ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত ৪টি প্যাট্রল ক্রাফট নৌবহরে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে।

এ ছাড়া নবনির্মিত এলসিইউগুলো আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের আওতায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর ও তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি এলসিইউগুলো জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সব ধরনের সহায়তা কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। নবনির্মিত এসব জাহাজ ও ঘাঁটি কমিশনিংয়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধ, চোরাচালান দমন, মানব পাচার রোধ, জলদস্যুতা, মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর বানৌজা শের-ই বাংলা ঘাঁটির নামফলক উন্মোচন করা হয়।