নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম। ফাইল ছবি

নোয়াখালীতে অদিতা হত্যার পর জেলা পু্লিশ সুপারের নির্দেশে এক সপ্তাহে ৯টি থানার পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি এবং আড্ডা, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত, সন্ধ্যার পর বাইরে থাকায় ২ শতাধিক স্কুল-কলেজ ছাত্রকে আটক দেখানো হয়েছে।

যাচাই-বাছাই করে অধিকাংশকে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাকিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে জানতে চাইলে নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে আমাদের এই উদ্যোগ। অভিযানের পর থেকে যত্রতত্র কিশোরদের আড্ডা এবং জনমনে আতঙ্কে কমে গেছে। পাশাপাশি বাজে আড্ডায় সময় নষ্ট না হওয়ায় কিশোরেরা পড়ালেখায় মনোযোগী হচ্ছে। অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে শুরু করেছেন। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

তিনি সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ও খোঁজখবর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

অভিযানের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ ও কিশোর-কিশোরীদের অবৈধ সম্পর্কে না জড়াতে বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মকর্তারা স্কু্ল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে কাজ করছেন।

চলমান অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ও আড্ডা অনেকটা কমে এসেছে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

এমন মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জদের ধন্যবাদ জানায়।