পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৫ ডাকাতের দুজন ও জব্দ করা কাভার্ড ভ্যান। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা এলাকার সড়কের ২৫০টি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে একটি ক্লুলেস ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ ডাকাতকে।

গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার সময় একদল ডাকাত সুধারাম থানাধীন সোনাপুর বিসিক শিল্প নগরীর “ভাই ভাই ফাউন্ড্রী” নামক পুরাতন ব্যাটারি কারখানার গেইট খুলে ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে কর্মরত লোকজনদের এসএস পাইপ দিয়া এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে। ডাকাতরা একপর্যায়ে কারখানার ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে কারখানার একটি রুমের ভিতর আটক করে রাখে। এরপর কারখানায় আগে থেকে মজুদ করাআনুমানিক ৪০০ পিস পুরোনো ব্যাটারি এবং ৪২০ পিস ব্যাটারির সীসা ( ওজন ১০ টন ৬০০ কেজি, দাম আনুমানিক ৬৫ লক্ষ টাকা) কারখানা থেকে বের করে কাভার্ড ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. লিটন শেখের (৩৫) দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে সুধারাম মডেল থানায় নিয়মিত মামলা করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিরস্ত্র) স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজের কাছে অর্পণ করা হয়।

থানায় মামলা হওয়ার পর নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় সুধারাম থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম এসআই (নিরস্ত্র) স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজের নেতৃত্বে গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে।

ডাকাতদল খুবই চতুরতার সঙ্গে ডাকাতি করেছিল। ঘটনার ভিকটিম ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতচক্রকে চিহ্নিত করার মতো ক্লু পাওয়া যায় নাই।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ তদন্তকালে নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, ফেনী, চট্টগ্রামের সড়কের ২৫০টির উপর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় ব্যবহৃত ডাকাতদলের কাভার্ড ভ্যান শনাক্ত করে।

এ সূত্রকে ভিত্তি হিসেবে ধরে সুধারাম থানার চৌকস টিম দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ৫ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে কাভার্ড ভ্যানের চালকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামালের মধ্যে ৩৩২ পিস পুরোনো ব্যাটারি ও ৭০ পিস সীসার কড়াই বাটি উদ্ধার করে জব্দ করে।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন ‘
মো. জাকির হোসেন (২০), মো. শহিদ (৩৫), মনির হোসেন ওরফে মনির গোমস্তা (৩৩), মো. শাহাব উদ্দিন (৪৫) ও
মো. আরিফ (২৪)।