পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুমি হত্যার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল ৮ অক্টোবর সোনাইমুড়ী থানা চত্বরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম (পিপিএম) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার জানান, সুমি হত্যার মূল আসামি তার স্বামী মো. আবু ইউসুফকে সাতক্ষীরা মডেল থানা এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।

গত ১ অক্টোবর সকাল ৯টার সময় সুমির থেকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তার স্বামী ইউসুফ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী সুমির নাকে মুখে থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এতে মুখ দিয়ে প্রচণ্ড রক্তপাত শুরু হয়। পরে গলায় থাকা ওড়না পেছন দিক থেকে শক্তভাবে ধরে সুমিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ঢাকায় চলে যান ইউসুফ। এর একদিন পর আবার ইউসুফ ঘটনাস্থলে আসেন এবং স্ত্রীর মরদেহকে টেনে হিঁচড়ে বাথরুমে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাথরুমের দরজা বন্ধ করে বাসায় তালা দিয়ে সাতক্ষীরা পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ও সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় মামলা হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে আসামি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার জানান, আসামী আবু ইউসুফ একজন পেশাদার চোর। বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন চুরি করা তার পেশা ও নেশা। উক্ত আসামীর হেফাজত হইতে মোট ০৯ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।