নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হত্যা মামলার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালীতে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর স্বামীকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ। আসামি এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আবু ইউসুফ (২২)। পুলিশ জানায়, ইউসুফ পেশাদার চোর। বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন চুরি করা তাঁর পেশা ও নেশা। গ্রেপ্তারের সময় আসামির কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ জানায়, বিদেশ যাওয়ার কথা বলে ১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ইউসুফ তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমির কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সুমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইউসুফ তাঁর স্ত্রীকে দুটো চড় দিলে সুমির নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কথা-কাটাকাটি আরও তীব্র হলে সুমির গলায় থাকা ওড়না পেছন দিয়ে শক্তভাবে ধরে রাখেন ইউসুফ। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় সুমির। এরপর বাসার বাইরের গেট লাগিয়ে ইউসুফ চলে যান। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউসুফ বাসায় ফিরে সুমির লাশ বাথরুমের ভেতরে নিয়ে রাখেন। তারপর বাথরুমের দরজা, বাসার মূল দরজা ও বাইরের গেট তালাবদ্ধ করে পালান তিনি।

পুলিশ আরও জানায়, ইউসুফ সোনাইমুড়ী থেকে ঢাকা হয়ে সাতক্ষীরায় রওনা হন। সাতক্ষীরায় একটি হোটেলে এক রাত কাটান তিনি। এদিকে সুমির মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে মামলা করে পুলিশ। সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও সাতক্ষীরা সদর থানা-পুলিশের সহায়তায় মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউসুফকে ওই হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাঁকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।