পাহাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স

নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির ১৬ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার পাহাড়ের ধারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। আগের দিন রোববার হিমালয় অঞ্চলে ২২ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। খবর এএফপির

রোববার সকালে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় পোখারা থেকে বেসরকারি সংস্থা তারা এয়ারের উড়োজাহাজটি জমসন শহরে যাচ্ছিল। জমসন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে চারজন ভারতীয় ও দুজন জার্মানির নাগরিক ছিলেন। অন্যদের মধ্যে একজন নেপালি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দুই মেয়ে ছিলেন।

নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে সেনাবাহিনী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে রোববার দিনভর অনুসন্ধান চালায়। কয়েকটি দল হেঁটে এই অনুসন্ধানের কাজে সহায়তা করে। কিন্তু রাত নামলে এই তল্লাশি অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সোমবার ফের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এরপর পাহাড়ের ঢালে পড়ে থাকা উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশ ও ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে সেনাবাহিনী। উড়োজাহাজটির একটি পাখায় ৯এন-এইটি নিবন্ধন নম্বরটি স্পষ্টভাবে নজরে পড়ছিল।

বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল করন বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৬ জনের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকারী দল। সূত্র: প্রথম আলো