মার্কিন ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ভুলবশত ড্রোন হামলায় নিহত ১০ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গত আগস্টে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

মার্কিন বাহিনীর ওই ড্রোন হামলায় জামাইরি আহমাদি নামের একজন সহায়তাকর্মী ও তাঁর পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হন। নিহতদের সাতটিই শিশু। পেন্টাগন বলেছে, শুধু আর্থিক ক্ষতিপূরণই নয়, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার ব্যাপারেও তারা কাজ করছে।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে গত ৩১ আগস্ট সেখান থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর দুদিন আগে, গত ২৯ আগস্ট ওই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের দুই সপ্তাহ আগে গত ১৫ আগস্ট কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বলেছিলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ২৯ আগস্ট ওই সহায়তাকর্মীর গাড়ি আট ঘণ্টা ধরে অনুসরণ করে। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, গাড়ির আরোহীরা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

তালেবানের আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এবং মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ওই সময়টায় কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে আরও হামলা হতে পারে বলে প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নজরদারি ড্রোনের মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী একসময় দেখতে পায়, ওই গাড়ির কয়েকজন আরোহী গাড়িটিতে এমন কিছু তুলছেন, যা বিস্ফোরক দ্রব্য বলে মনে হয়েছে। ড্রোন হামলার পর অবশ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ওগুলো পানির বোতল ছিল।

জেনারেল ম্যাকেঞ্জি ওই হামলার ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি জানান, ওই ড্রোন হামলার সঙ্গে তালেবানের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। হামলার ঘটনাটি ঘটে সহায়তাকর্মীর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে। ওই সময় তাঁরা বিমানবন্দর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ছিলেন।