বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি-সংগৃহীত।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে শারদীয় দুর্গোৎসবে কোনো ধরনের নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। নিরাপত্তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সব ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঢাকেশ্বরীর জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। খবর জাগো নিউজের।

কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৪৮টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এ মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহালয়া থেকে আজ পর্যন্ত একধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। আগামীকাল থেকে পাঁচ দিনব্যাপী পূজার মূল কার্যক্রম শুরু হবে। মহাষষ্ঠী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত পুরো সময়টাই পুলিশ, আনসারসহ যে স্বেচ্ছাসেবক দল রয়েছে, তাদের সহযোগিতায় নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সিভিল পোশাকেও লোক রাখা হয়েছে। আয়োজকদের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার বিভিন্ন সভা হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামী পাঁচ দিন অত্যন্ত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে পূজা উদযাপনে কোনো ধরনের শঙ্কা রয়েছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো সুনির্দিষ্ট শঙ্কা নেই। তবে সব ধরনের শঙ্কা মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে এবং আমরা সব ধরনের শঙ্কা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, সাতটা পূজামণ্ডপ ছোট, এ ছাড়া সব পূজামণ্ডপকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা দুই ভাগে ভাগ করে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কম গুরুত্বপূর্ণ রেখেছি। আমরা কেবল সাতটি পূজামণ্ডপকে কম গুরুত্বপূর্ণ রেখেছি এবং বাদবাকি সব পূজামণ্ডপকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু এটি প্রধান মণ্ডপ, তাই এখানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি জায়গায় আর্চওয়ে এবং বিশেষ টিম থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপেই সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাইবার মাধ্যমে কোনো মহল তার স্বার্থ হাসিলের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করে থাকে। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে এটি প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যে পূজা কমিটিগুলো রয়েছে, সবাইকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে এ ধরনের কোনো কিছু পেলে যেন আমাদের দিয়ে থাকে। আমাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম এটি চব্বিশ ঘণ্টা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সমন্বয় সভায় সবাইকে বলেছি নির্ধারিত সময়ে মধ্যে বিসর্জন যেন সম্পন্ন করতে পারি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।