পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নিজের মৃত্যুর খবর রটিয়ে স্ত্রীর সহায়তায় নারী পাচার করে আসছিলেন এক ব্যক্তি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়তে হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের হাতে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন পিপিএম (সেবা) জানান, গত রোববার (৯ এপ্রিল) রাতে ঝিনাইদহ সদর থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মজনু বিশ্বাস (৪৪) ও তাঁর স্ত্রী মোছা. মাজেদা খাতুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বাড়ি নড়াইলে।

তিনি জানান, ঝিনাইদহ সদর থানা এলাকার একটি বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মজনু। এ সময় এক প্রতিবেশী নারীর সঙ্গে তাঁরা সখ্যতা গড়ে তোলেন। ওই নারীকে ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করেন মজনু। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ মে ভুক্তভোগীকে অবৈধ পথে ভারতে নিয়ে যান তিনি। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করা শ্যালক সোহাগের কাছে ভুক্তভোগীকে বিক্রি করে দেন মজনু। বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগী। কিন্তু হত্যার হুমকি দিয়ে তাঁকে সেখানে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি সংগঠনের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

মামলা তদন্তকালে জানা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নিজের মৃত্যুর খবর রটান মজনু। কিন্তু তিনি জীবিত আছেন বলে তদন্তে উঠে আসে।

পুলিশ সুপার জানান, বারবার নিজেদের অবস্থান পাল্টাচ্ছিলেন দুই আসামি। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত রোববার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মানবপাচার আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা মানবপাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গত সোমবার (১০ এপ্রিল) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।