চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৩ যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেলে অবস্থানরত এক ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। খবর জাগো নিউজের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার আব্দুল আলিমের ছেলে বিপুল (২৭), সুমুরদিয়াপাড়ার দরুদ হাসানের ছেলে রুহুল আমিন (২৫) ও হাসপাতালপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে রিমন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, সদর উপজেলার নুরনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন। পরে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে দুই দিন ধরে শহরের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি বলেন, মামলার বাদী রাকিবুল ২৪ মে চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। এরপর সেখানে তিনি দুই দিন অবস্থানও করেন। এর একপর্যায়ে ২৭ মে সকালে রাকিবুল হোটেল রুমে অবস্থানকালে বিপুল, রুহুল ও রিমন দুই নারীকে নিয়ে ওই হোটেলে প্রবেশ করেন। এরপর রাকিবুলের রুমে এক নারীকে ঢুকিয়ে দেন। একপর্যায়ে রুহুল জোর ওই নারীর সঙ্গে রাকিবুলের আপত্তিকর অবস্থা তৈরি করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখেন।

ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, এরপর প্রতারকেরা রাকিবুলকে ব্ল্যাকমেল করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাকিবুলকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এরপর তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, চেকবই, মানিব্যাগ ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যান প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় রাকিবুল মামলা করলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তিনজনকে চুয়াডাঙ্গার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।