নাইজেরিয়ায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে জানান, শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দেশটির সহিংসতাপূর্ণ ইমো রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো রাজ্যটিতে পুলিশ স্টেশন, সরকারি ও নির্বাচনী দপ্তরগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের সহিংসতার জন্য দেশটির সরকার বেশির ভাগ সময় নিষিদ্ধঘোষিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইনডিজেনাস পিপল অব বিয়াফ্রাকে (আপিওবি) দায়ী করে থাকে। তবে আইপিওবি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে, পুলিশ কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করলেও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি ইমো রাজ্য পুলিশ। তবে রাজ্যটিতে অনেক আগে থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে সহিংসতা চলে আসছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া বর্তমানে ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রায়ই প্রাণঘাতী বন্দুক হামলা ও অপহরণের মতো ঘটনা ঘটে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসলামপন্থীদের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করে রেখেছে।

আইপিওবির মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় নাইজেরিয়ায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ অঞ্চলটিতে ইগবো নৃগোষ্ঠীর বসবাস। অঞ্চলটি ১৯৬৭ সালে ‘রিপাবলিক অব বিয়াফ্রা’ নাম নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আর তাতে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ তিন বছর স্থায়ী হয়, যাতে ১০ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। সূত্র: জাগো নিউজ