পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির মামলার গ্রেপ্তার ৫ আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নরসিংদীর রায়পুরা থানার পুলিশের পরিচয়ে ডাকাতি মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২ সেট পুলিশের পোশাক, ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, ১টি বেল্ট, ২০০ মার্কিন ডলার, ২ হাজার সৌদি রিয়াল, ১১ হাজার টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যাবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা থানার বাসিন্দা মো. আক্তার হোসেন (৩৪) ভৈরব হাবিব সুপার মার্কেটে মোবাইল ফোনের ব্যবসা ও পাশাপাশি হজ এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ১৬ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার সময় আক্তার হোসেন মার্কেটের দোকান বন্ধ করে একটি ল্যাপটপের ব্যাগে উল্লিখিত মার্কিন ডলার, সৌদি রিয়াল, বাংলাদেশি টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ভৈরব থেকে নিজ বাড়ি রায়পুরার উদ্দেশে রওনা দেন।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে রায়পুরা থানাধীন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর উত্তর পাড়া ব্রিজের ১০০ গজ দক্ষিণে পৌঁছালে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ৩/৪ জন সিভিল এবং ৩ জন পুলিশের পোশাক পরা লোক তাঁকে আটকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন।

এ বিষয়ে মামলা দায়েরের পরে নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএমের সরাসরি তত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান ও ওসি ডিবি আবুল বাশার পিপিএম (বার)-এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. নজরুল ইসলাম, এস আই সাদেকুর রহমান সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ফোর্সসহ গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামি জয়নাল আবেদীন (৪৮), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০), মো. নাজির আহম্মেদ (৫৮), মো. রাজিব মিয়া (৩৩) ও মো. শাহাজাহান মিয়াকে (৬০) গ্রেপ্তার করে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রায়পুরা থানার পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে জানান।

এ মামলার তদন্ত চলমান আছে।