চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হালিশহর থানা-পুলিশ দেড় বছর আগের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁরা হলেন মো. সোহাইল আহাম্মেদ (৪০) ও নাহিদা আক্তার (২২)।
আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সিএমপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
সিএমপি জানিয়েছে, চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ২০২০ সালের ২১ জুলাই অজ্ঞাতনামা নারীর (২৫) লাশ পাওয়া যায়। পরে সেই বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার মো. নুর নবী হালিশহর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
পরবর্তীকালে হালিশহর থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত মো. সোহাইল আহাম্মেদের অবস্থান শনাক্ত করতে সচেষ্ট হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন সময় জায়গা পরিবর্তন করায় তাঁর প্রকৃত অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। পরে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান বাগেরহাট জেলায় নিশ্চিত হওয়া যায়।
এরপর হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল মামুন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার মিঠাখালী গ্রাম-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিএমপির পতেঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাহিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনেই নিহতের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
