দেশে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনে সংক্রমিত একজন রোগী (৫৬) শনাক্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি এখন ঢাকায় আছেন। খবর প্রথম আলোর।

দেশে তৃতীয় রোগী হিসেবে এই ব্যক্তির অমিক্রন শনাক্ত হলো। এর আগে জিম্বাবুয়েফেরত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের অমিক্রন শনাক্ত হয়। তাঁরা সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরছেন।

করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাতে (জিআইএসএআইডি) জমা পড়া এক নমুনায় এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিসি) এই নমুনা সংগ্রহ ও এ–সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে জিআইএসএআইডির ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে নতুন সংক্রমিত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আইডিসির গবেষক ওমর হামজা জানান, অমিক্রনে সংক্রমিত ওই ব্যক্তির নমুনা ২৩ ডিসেম্বর সংগ্রহ করা হয়। ওই পুরুষ রোগীর বয়স ৫৬ বছর। তিনি ঢাকায় আছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরিন আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এর আগে দুই ব্যক্তির অমিক্রন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছি। তৃতীয় ব্যক্তির অমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি আইদেশি করেছে।’

বিশেষজ্ঞরা অমিক্রন শনাক্তের ক্ষেত্রে এখন সিকোয়েন্সিংয়ের চেয়েও নির্দিষ্ট পিসিআর কিটের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন। জৈব তথ্য বিশ্লেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম বলেন, সিকোয়েন্সিং কিছুটা সময়সাপেক্ষ। পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমেও তাৎক্ষণিকভাবে অমিক্রন শনাক্ত করা সম্ভব।

যুক্তরাজ্য ও পৃথিবীর অন্য সব দেশই অমিক্রন ধরন নিয়ে তাৎক্ষণিক নজরদারির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পিসিআর কিট ব্যবহার করছে। তবে এই কিটে তিনটি জিনের মধ্যে ‘এস’ জিনের উপস্থিতি ধরা পড়ে না, যেটি ডেলটা থেকে অমিক্রনকে আলাদা করতে সহায়তা করে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত করতে এবং ভাইরাসটির পরিবর্তন ও ছড়ানোর গতিপথ নজরদারির জন্য সিকোয়েন্সিং করতেই হবে।

এর আগে জিম্বাবুয়েফেরত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের অমিক্রন শনাক্ত হয়। দলটি ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরে। ৬ ডিসেম্বর জানা যায়, দুই ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত। আর ১১ ডিসেম্বর জানা যায়, তাঁরা অমিক্রন ধরনেই আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দলের আরেক সদস্যের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়। তিনি অবশ্য অমিক্রনে নয়, ডেলটা ধরনে আক্রান্ত হন। তিনজনকেই রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অমিক্রনে আক্রান্ত দুজনই অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।