কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বড় হাব তৈরি করছে সরকার। গুচ্ছভিত্তিক এই পরিকল্পনা বা হাবের মধ্যে থাকবে বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেল সংরক্ষণাগার, বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসসহ (এলএনজি) ২২টি প্রকল্প। এর জন্য সড়ক ও রেলপথ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আর এসব গড়ে উঠছে মূলত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে। খবর দেশ রূপান্তরের।

গভীর সমুদ্রবন্দর ঘিরে দেশের জ্বালানির প্রাণকেন্দ্র হতে যাওয়া মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের চেহারা বদলে যাবে বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।

দেশে তিনটি সমুদ্রবন্দর থাকার পরও তার একটি থেকেও পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দরের সুবিধা নেওয়া যাচ্ছে না নাব্যের অভাবে। বড় জাহাজগুলো চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে পারে না। বহুদিন ধরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কথা সরকার চিন্তা করলেও বাস্তবে তা রূপ দিতে পারেনি নানা জটিলতার কারণে। এবার গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে বাংলাদেশের বহুদিনের অপূর্ণতা শেষ হচ্ছে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর। এ বন্দর নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ দেবে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বন্দরটির ব্যবস্থাপনায় থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

গভীর সমুদ্রবন্দর ঘিরে দ্বীপে শিল্পের আয়োজন : দেশে বিভিন্ন সময় গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে কথা হয়েছে।

জাইকার অর্থায়নে মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের চুক্তি করেছে সরকার। শুধু বন্দর নয়, একই সঙ্গে বন্দরের পাশে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেও অর্থ দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয় জাইকা। মহেশখালীর মাতারবাড়ীর ধলঘাটাতে সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র সাগরে প্রদীপ মহেশখালী নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তবে এ বন্দরটিতে শুধু কয়লা ও তেল খালাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বন্দরটিতে ১৮ মিটার গভীরতা থাকায় বড় জাহাজ এসে সোজা জেটিতে পণ্য খালাস করতে পারবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাজ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে বন্দর নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বন্দরের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। আর চ্যানেলের ডান পাশে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর কংক্রিটের একটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এতে চ্যানেলে পলি জমতে পারবে না।

কয়লা খালাসের জন্য নির্মাণ করা বন্দরটি দিয়ে সাধারণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। এ জন্য সরকার জাইকার অর্থায়নে সেখানে একটি আলাদা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে খরচ পড়বে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান। বাকি অর্থের মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বন্দরটির দায়িত্ব থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে।

মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দরের ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার লম্বা চ্যানেল তৈরির ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখনই চ্যানেলের গভীরতা ১৬ মিটার। তা সাড়ে ১৮ মিটারে উন্নীত করা হবে। যেটুকু খনন হয়েছে, তাতে এখনই ১৫ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব। বিদ্যুৎ প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম খালাসের জন্য আগেভাগে চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ করা হচ্ছে। বর্তমানে চ্যানেলের প্রশস্ততা দেড় শ মিটার। আর মূল সমুদ্রবন্দর নির্মাণ শেষ হলে তখন চ্যানেলের প্রশস্ততা হবে আড়াই শ মিটার। এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। বন্দরে যাতে সহজে ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে পণ্য আসতে পারে, সে জন্য রেলপথ স্থাপন করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে এ বন্দরটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বন্দরের সঙ্গেই গড়ে তোলা হবে কইটেইনার রাখার অবকাঠামো। ইনল্যান্ড কইটেইনার ডিপো (আইসিডি) গড়ে তোলা হবে বন্দরের পাশে।

গভীর সমুদ্রবন্দরের পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য রেল ও সড়কপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। গভীর সমুদ্রবন্দরে ৩০০ ও ৪৬০ মিটার দীর্ঘ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর ফলে বিশাল জাহাজ থেকে সরাসরি পণ্য ওঠানামা সহজ হবে। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৬ সাল। দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত হবে তিনটি কনটেইনার টার্মিনাল। এভাবে পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে টার্মিনাল।

নির্মাণকাজ শেষ হলে দেশের একমাত্র এই গভীর সমুদ্রবন্দরে ১৪-১৫ হাজার একক কনটেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে গড়ে প্রতিটি জাহাজে পণ্যবাহী ১ হাজার ৮৭৮টি কনটেইনার আনা-নেওয়া হয়।

যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে

বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সেতু নির্মাণ। ধলঘাটের বন্দর এলাকায় সড়কপথে যেতে হলে বেশ কয়েকটি নদী পার হতে হয়। কক্সবাজার থেকে ধলঘাট পর্যন্ত উন্নত সড়ক ও সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৭ কিলোমিটার সড়ক ও ১৭টি সেতু নির্মাণের কথা ভাবছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালের মধ্যে এসব অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথকে ধলঘাটায় বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করতে চায়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এর আগে সরকার চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। বন্দরের মালামাল আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার এর মূল লক্ষ্য।

বিদ্যুৎকেন্দ্র : ২০১০ সালে জাইকার অর্থায়নে ৪০ বছর মেয়াদি বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনায় ব্যাপকভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এ পরিকল্পনায় দেশে ২০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা ছিল; এগুলোর মধ্যে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। পরিবেশ ধ্বংসের কারণে সরকার সম্প্রতি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে বেশ খানিকটা পিছু হটেছে। শুধু মহেশখালীতেই আটটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা সরকার বাতিল করেছে। তবে জাইকার অর্থায়নে এখনো সেখানে সরকারি কোম্পানি কোল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ধলঘাটে প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম কেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটের নির্মাণকাজ বেশ এগিয়েছে।

জ্বালানির বড় বলয় গড়ে উঠবে

মহেশখালী ঘিরে সরকার জ্বালানির বড় বলয় গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। এই দ্বীপ হবে দেশের আমদানি করা জ্বালানির প্রাণ। এসবের মধ্যে রয়েছে একাধিক এলএনজি টার্মিনাল। এখানে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) টার্মিনালও হবে। এ ছাড়া এখান থেকে দেশের সব আমদানি করা তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাবে।

সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল ইতিমধ্যে সরকার নির্মাণ করেছে। সেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে জাতীয় সঞ্চালন পাইপলাইনে। এ দুটি এলএনজি টার্মিনাল ছাড়াও সরকার আরও তিনটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করতে চায়। এগুলোর মধ্যে ধলঘাটের স্থলভাগে দুটি এলএনজি টার্মিনাল হবে। আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল করবে সরকার। তিনটি টার্মিনালের সম্মিলিত ক্ষমতা হবে দৈনিক ৩৫০ কোটি ঘনফুট। দেশে গ্যাসের চাহিদার বড় অংশই এখানকার এলএনজি দিয়ে পূরণ হবে। স্থলভাগের একটি টার্মিনাল নির্মাণে ইতিমধ্যে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। এর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এলপিজির ব্যবহার। বেসরকারি পর্যায়ে দেশে ২৮টি এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানও এলপিজি বাজারজাত করে থাকে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মালিকানায় মাতারবাড়ীর ধলঘাটে একটি এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যৌথভাবে এ টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ। এলপিজির টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হলে সাশ্রয়ীমূল্যে এলপিজি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করার পর তা চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে করে খালাস করা হয়। অপরিশোধিত বা ক্রুড তেল হলে তা পরিশোধন করে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য ডিপোতে পাঠানো হয়। এতে তেলের অপচয় ও চুরি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে না পারায় মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটার জাহাজে করে তেল পরিবহন করায় অপচয় হয়, বাড়ে পরিবহন খরচ। সরকার মহেশখালীর কালামারছড়াতে তেল মজুদের বিশাল বিশাল অবকাঠামো গড়ে তুলছে। এক লাখ টনের একটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে সময় লাগে ১১ দিন। এ সময় জাহাজকে বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। তেল খালাসের এই সনাতন ব্যবস্থা থেকে এবার বাংলাদেশ মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) মাধ্যমে। এসপিএমের অবকাঠামো হিসেবে গভীর সমুদ্রে স্থাপন করা হচ্ছে বিশেষ একধরনের বয়া, যার ভেতর থাকবে পাইপলাইন। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে স্থলভাগের তেল সংরক্ষণাগারে আসবে তেল। এসপিএমের মাধ্যমে একটি জাহাজ থেকে ১ লাখ টন তেল খালাস করতে মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে।

এসপিএমের মাধ্যমে তেল খালাস করতে পাইপলাইন স্থাপন করা লাগবে মোট ২২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সমুদ্রের তলদেশে ১৩৫ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। দুটো পাইপলাইন থাকছে, একটি দিয়ে অপরিশোধিত তেল অন্যটি দিয়ে পরিশোধিত তেল পরিবহন করা হবে। এতে করে বছরে কমপক্ষে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে সরকারের জ্বালানি বিভাগ।

এ ছাড়া বিপিসির মালিকানায় ধলঘাটা এলাকায় একটি তেল শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানও এখানে তেল শোধনাগার তৈরি করবে।
এ অঞ্চলে থাকছে তিনটি অর্থনৈতিক জোন (ইজেড)। এ তিনটি ইজেড করা হবে মহেশখালীতে। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় এখানে গড়ে উঠবে খাদ্যগুদাম। গোটা অঞ্চলের জন্য একটি ইকোপার্কেরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সোনাদিয়া দ্বীপে ইকোপার্কটি নির্মাণ করা হবে। এটি ৯ হাজার ৪৬৬ একর জায়গায় গড়ে উঠবে।

মাতারবাড়ী নিয়ে সরকারের সামগ্রিক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাননীয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘এই দ্বীপটি ঘিরে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তার বড় বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে এলএনজি, এলপিজি ও কয়লা আসবে। এই জ্বালানির ওপর ভর করেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে। গোটা মাতারবাড়ী বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে। ’