ভ্যানচালক কিতাব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের প্রেস ব্রিফিং। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার কাদিপুরে ভ্যানচালক কিতাব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে দামুড়হুদা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে জড়িত ৩ জনকে।

আজ ২১ এপ্রিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দামুড়হুদা থানা পুলিশ গত ১৯ এপ্রিল সকাল ৬ টার সময় খবর পায় যে, কাদিপুর গোরস্থানপাড়া গ্রামের কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে জনৈক ইসাহাক মন্ডলের আবাদী জমির উপর একটি লাশ পড়ে আছে ।

খবর পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দামুড়হুদা থানা পুলিশ। ভিকটিমের স্ত্রী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের শনাক্তমতে লাশটি ভ্যানচালক কিতাব আলীর বলে জানা যায়।

ধারণা করা হয়, ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১৯ এপ্রিল সকাল ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা কিতাব আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।

এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় ২০ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা হয়।

এরপর চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নেমে পড়ে। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ২০ এপ্রিল ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

এরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর (৩৮), মো. সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও মো. হাফিজুর রহমান (২০)।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম এবং গ্রেপ্তার আসামিরা পরস্পরের পরিচিত। তারা ঘটনার দিন ১৮ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে একত্রে গাঁজা সেবনের সময় নিজেদের মধ্যে টাকা-পয়সা দেনা-পাওনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভিকটিম কিতাব আলীর কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে আসামি সাইফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে হত্যা করেন।

আসামি জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা, আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), জাকিয়া সুলতানা, সহকারী
পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল), মো. সাইফুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, দামুড়হুদা মডেল থানা, এএইচএম লুৎফুল কবীর, পুলিশ পরিদর্শক, জেলা বিশেষ শাখা, চুয়াডাঙ্গাসহ ডিবি ও দামুড়হুদা মডেল থানার অভিযানিক টিম ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।