মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে। দলমতনির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধাকে এ সম্মান জানানো হচ্ছে। এটিকে নিজেদের কর্তব্য বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।

বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ‘বীর নিবাস’-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। খবর বাংলাদেশ জার্নালের।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

তিনি বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, এমনকি নির্যাতিত মা-বোনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক-নার্স নিয়ে আসেন এবং তাঁদের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করেন।

‌‌‘বঙ্গবন্ধুর কথায় যার যা ছিল, তা-ই নিয়েই কিন্তু শত্রুর মোকাবিলা করেছিলেন তাঁরা। এ ধরনের যুদ্ধ কিন্তু কমই দেখা গেছে, যেটা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ করেছিলেন।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। ন্যূনতম ভাতা এখন ২০ হাজার টাকা করেছি। তা ছাড়া অনেকের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মানবেতর জীবন-যাপন করছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করবেন বা রিকশা চালাবেন, অন্তত আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন ক্ষমতায়, তখন এটা হতে পারে না। সে জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করেছি, জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা এবং তাঁদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছর ৩০ হাজার বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া হবে।