ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকছবি: সংগৃহীত

খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদ্‌যাপনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরের কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। ওড়ানো যাবে না কোনো ফানুস।

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে তল্লাশিচৌকি। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খবর প্রথম আলোর।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশে কেউ কোনো ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবে না। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। রাত ৮টার পর যারা ওই এলাকার বহিরাগত, তাদের চলে যেতে বলব। আমরা ৮টার পর সেখানে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করব।’

যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা শহরজুড়ে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, সাদাপোশাকে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে, যাতে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আজ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে। চেকপোস্টের মাধ্যমে আমরা যতটা সম্ভব পারি, তল্লাশি চালাব, যাতে সন্ত্রাসী কিংবা অন্য কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না করতে পারে। উগ্র গোষ্ঠী যাতে কোনো নাশকতা না করতে পারে, সে জন্য আমরা সতর্ক থাকব।’

রাস্তার মোড়, উড়ালসড়কে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোনো ধরনের ডিজে পার্টির আয়োজন করা যাবে না। কোথাও আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না। ঢাকা শহর অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। আগেও আমরা দেখেছি, ফানুস ওড়ানোয় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ফানুস ওড়ানো যাবে না। যদি কেউ ফানুস ওড়ায়, তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, গুলশান, বারিধারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাঁদের ওই সব এলাকায় নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের জন্য কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের কাছে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত স্টিকার দেখানো সাপেক্ষে শাহবাগ ও নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর, পলাশী মোড়টি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ওই সব এলাকায় প্রবেশের সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে।

হাতিরঝিল এলাকায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, উচ্চ স্বরে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না। যাঁরা নিয়ম ভঙ্গ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাতাল অবস্থায় যাতে কেউ গাড়ি না চালাতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্দেহজনক ব্যক্তি হলে নিকটস্থ পুলিশ কিংবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।