পুলিশের হেফাজতে সোহরাব হত্যা মামলার গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার পুলিশ চাঞ্চল্যকর সোহরাব হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, তাড়াইল থানার চর তালজাঙ্গা এলাকার মজনু মিয়ার সাথে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সোহরাব উদ্দিনের শত্রুতা চলে আসছিল। এরই জেরে ধরে ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মজনু মিয়া ভিকটিম সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার ওপর এসে সোহরাবকে নাম ধরে ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে সোহরাব বাড়ি থেকে বের হয়ে মজনু মিয়াকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে মজনু ক্ষিপ্ত হয়ে সোহরাবের শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মজনু ও তার সহযোগীরা সোহরাবকে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে সোহরাব অজ্ঞান হয়ে পড়লে মজনু ও তাঁর সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে যান।

পরে আশপাশের লোকজন এসে সোহরাবকে চিকিৎসার জন্য অটোরিকশাযোগে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান রুবেল বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান ৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার সময় এজাহারনামীয় আসামি মজনু মিয়াকে (৫০) করিমগঞ্জ থানাধীন গুজাদিয়া এলাকা থেকে ও অপর আসামি রোমান মিয়াকে (২১) কিশোরগঞ্জ মডেল থানাধীন নীলগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনার সততা স্বীকার করেন।