তদন্তে একের পর এক সাফল্য দেখাচ্ছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০১৮ সালে পিবিআই ১৫ হাজার ৫১টি সিআর মামলা তদন্ত করেছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ২৮ হাজার ৩৯৯টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮৭২৮২টি সিআর মামলা তদন্ত করেছে পিবিআই। খবর জাগো নিউজের।

২০১৫ সালের ৩ মে। চট্টগ্রাম থেকে আসা ঈগল পরিবহনের একটি বাস থামে গাবতলীতে। সব যাত্রী নেমে গেলেও পাওয়া যাচ্ছিল না চট্টগ্রামের এ কে খান কাউন্টার থেকে ওঠা একটি হলুদ রঙের ট্রাংকের মালিককে। এতে সন্দেহ হয় ঈগল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজারের। খবর দেন গাবতলী বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে ট্রাংকটি খুলেই ভেতরে পায় এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।

মরদেহের পরিচয় না মেলায় দারুস সালাম থানা-পুলিশ মামলা করে। থানা-পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটির তদন্ত করলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেলেনি ওই নারীর পরিচয় কিংবা উদঘাটন হয়নি হত্যার রহস্য। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। প্রায় দুই বছরের তদন্তে চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানায় করা একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) সূত্র ধরে উদ্ঘাটিত হয় হত্যার রহস্য। জানা যায়, ওই নারীর নাম শম্পা খাতুন। কথিত স্বামী রেজাউল করিম শ্বাসরোধে তাঁকে শম্পাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করতেই ট্রাংকে ভরে ঈগল পরিবহনের বাসে তুলে দেন।

তদন্তে জানা যায়, ২০১৩ সালে অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী সদস্য রেজাউলের সঙ্গে শম্পার পরিচয়। এরপর প্রেম হয় তাঁদের। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রেজাউল চট্টগ্রাম চলে যান। সেখানে তাঁরা ২০১৪-২০১৫ সালের একটা সময় পর্যন্ত একত্রে বসবাস করেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেও বিয়ে করেননি। পরে তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে রেজাউল ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে শম্পাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে শম্পার ভগ্নিপতি আব্দুল মান্নান পাহাড়তলী থানায় একটি জিডি করেন। ২০২১ সালে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার হন রেজাউল।

ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। এরই মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলও করা হয়েছে।’

শুধু এমন হত্যাকাণ্ডই নয়; ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, ডাকাতি, চুরি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মাদকসহ থানায় করা (জিআর) ১৬ ধরনের তফসিলভুক্ত মামলার পাশাপাশি তফসিলবহির্ভূত অন্যান্য মামলা এবং আদালতের নির্দেশে (সিআর) নানা ধরনের মামলার তদন্তে ‘চমক’ দেখাচ্ছে পিবিআই।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তদন্তে কারও প্রতি আনুগত্য যেন দেখাতে না হয়, সে জন্য যেমন কৌশল নেয় পিবিআই, তেমনি এড়িয়ে চলে রাজনৈতিক প্রভাবও। তা ছাড়া শুরুতেই কাউকে দোষী হিসেবে মনস্থির না করে তদন্ত চালায় সংস্থাটি। রহস্যজনক ও ক্লুলেস (আলামতহীন) ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্তের জন্য বিধি অনুযায়ী করা হয় টিম। আন্তর্জাতিক মানের নানা প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত তদন্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও তদারকির ফলে পুরো টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসে প্রকৃত ঘটনা।

পিবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় থাকে বলে পিবিআইয়ের তদন্তের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে। মানুষের আস্থা বাড়ায় এবং জটিল ঘটনার রহস্য উদঘাটনের নজির তৈরি করায় পিবিআইয়ের ওপর মামলা তদন্তের চাপও বাড়ছে। সীমিত লোকবল, প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা ও সময়ের স্বল্পতার মধ্যেই মামলার সংখ্যার ঊর্ধ্বমুখিতা ভাবিয়ে তুলছে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের।

পিবিআইয়ের আইন ও গণমাধ্যম শাখা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের ১৫টিরও বেশি ইউনিটের মধ্যে অন্যতম পিবিআই ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) আদলে গড়া পিবিআই ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি একটি নিজস্ব বিধিমালা পেলেও মামলা তদন্তের কাজ শুরু করে ২০১৫ সালের ১০ জুন থেকেই। এরই মধ্যে অনেক চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক মামলার প্রকৃত চিত্র তুলে এনে প্রশংসা কুড়িয়েছে সংস্থাটি। রাজধানীর রমনায় ৩০ বছর আগের সগীরা মোর্শেদ হত্যা মামলার আসামি শনাক্ত, ২৪ বছর পর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন, ২০১৯ সালে ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা, হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীকে সময়মতো অক্সিজেন না দিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগের তদন্ত আলোচনায় এনেছে পিবিআইকে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ধনী কিংবা গরিব, শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত—সব শ্রেণির মানুষের জন্য সমান গুরুত্ব দিয়েই মামলার তদন্ত করে পিবিআই। এ কারণে কয়েক বছর ধরে পিবিআইয়ের ওপর মামলা তদন্তের চাপ বেড়েই চলেছে।

সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার দেওয়া তথ্যমতে, আদালতের নির্দেশে (সিআর) ২০১৮ সালে পিবিআই যেখানে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল ১৫ হাজার ৫১টি মামলার, ২০২১ সালে তাদের কাঁধে এসেছে ২৮ হাজার ৩৯৯টি। সংস্থাটি ২০১৮ সালে যেখানে ৫ হাজার ৪৬৯টি থানায় দায়ের হওয়া মামলা (জিআর) তদন্তের দায়িত্ব পায়, ২০২১ সালে তাদের দপ্তরে এসেছে ৬ হাজার ৮৭১টি মামলা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পিবিআই আদালতের নির্দেশে (সিআর) মোট ৮৭ হাজার ২৮২টি মামলার তদন্ত করেছে। এর মধ্যে ৭৯ হাজার ৭৭৩টি মামলার নিষ্পত্তি করেছে তারা। এসব মামলার ২৭ হাজার ৫৩০টিতে দেখা গেছে, এজাহারে যে অভিযোগ ছিল, তা তদন্তে অপ্রমাণিতই হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭৯২টি জিআর মামলার মধ্যে পিবিআই নিষ্পত্তি করেছে ১৭ হাজার ৯৫টি মামলা। এসব মামলার ৪ হাজার ৯৯০টিতে দেখা গেছে, এজাহারে যে অভিযোগ ছিল, তা তদন্তে অপ্রমাণিত হয়েছে।

ইউনিটের তদন্ত ও অগ্রযাত্রার বিষয়ে পিবিআইয়ের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘মানুষের আস্থা আছে কি না, তা জানি না। তবে আমাদের কাজটা হলো, যে তদন্তগুলো আমাদের কাছে আসে, সেগুলোর মধ্যে ছোটখাটো বিষয়, জটিল খুন, চুরি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, প্রতারণা ও জালিয়াতির মতো বিষয় থাকে। আমরা সব মামলা একই রকম গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, কোন পরিবার থেকে মামলা করা হয়েছে বা ভিকটিম আমাদের বিষয়বস্তু হয় না। বিষয়বস্তু হয় ঘটনা যেটা হয়েছে সেটিই ঠিকমতো তদন্তে উদ্ধার করা। তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনা একটু জটিল মনে হলে বিধি অনুসারে টিম করে দেই, যেন পরামর্শ করে তদন্ত এগোতে পারে। ফলে ছোট-বড় সব মামলায় চেষ্টা করা হয় ভিকটিম ও আসামি উভয়ই যেন বিচার পান। যিনি জড়িত ছিলেন না, তিনি যেন অভিযুক্ত না হন। আবার করেছেন এক অপরাধ, তাকে যেন অন্য কোনো অপরাধে যুক্ত না করা হয় বা দণ্ডের সুপারিশ না করা হয়।’

আদালতের নির্দেশে প্রতারণা, জালিয়াতি, জমিজমার বিরোধ, হত্যার হুমকি প্রভৃতি মামলার সবচেয়ে বেশি তদন্ত করে পিবিআই। মামলার তদন্তে অনেক সময় খোদ বাদীকেই দোষী পাওয়া যায়। যেমন, গত বছর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মো. স্বপন মিয়া নামের এক চা বিক্রেতা হত্যাকাণ্ডে তার ভাই মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে, বাদীর নিজেরই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য। ফলে বাদীই হয়ে যান বিবাদী।

নিহত স্বপনের স্ত্রী পুতুল বলেন, ‘আমার একটা ধারণা ছিল, রিপনই কাজটা করছে। পিবিআই তদন্ত করে রিপনই মারছে, এটা বের করছে। এখন তার ফাঁসি হোক, এটাই চাই।’

এ ধরনের ঘটনায় শুধু সাধারণ মানুষই নন, পুলিশের সদস্যদেরও জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে এনেছে পিবিআই। চট্টগ্রাম নগরে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার বিষয়টিও বেরিয়ে আসে পিবিআইয়ে তদন্তে। সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যায় উপপরিদর্শক আকবর হোসেনের জড়িত থাকার কথা তাঁর সহকর্মীদের জবানিতেও বের করে আনে তদন্ত সংস্থা পিবিআই।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমরা নিজেরা কিছুটা ঝুঁকি নেই। যে মামলাগুলো আদালত থেকে আসে, সে মামলার সব আসামির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে থাকি। তাদের ভাষ্যটা জানার চেষ্টা করি। এতে আমাদের তদন্তে কিছুটা সুবিধা হয়। আবার এমনও হয়েছে অনেকে জানেন না তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সুতরাং তাকে জিজ্ঞেস করে না এগোলে তদন্ত একতরফা হয়ে যেতো। কিন্তু অসুবিধাটি হলো, বাদী যখন দেখেন, পিবিআইয়ের অফিসে বিবাদীরা বসে আছেন, তখন তিনি ভাবেন, নিশ্চয়ই কোনো আর্থিক বা কোনো সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে আনা হয়েছে। অনেক কিছুতেই বিরূপ চিন্তা তৈরি হয়। তবে অভিযোগটা আমরা শুরু থেকে মাথায় নিয়েই তদন্তে প্রকৃত বিষয়টি বের করে আনার চেষ্টা করি।’

পিবিআইয়ের তথ্যমতে, তাদের তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে। এ জন্য পিবিআই ল্যাবরেটরিতে বিশেষ ডিভাইস ও সফটওয়্যার যেমন আছে, তেমনি ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য সহায়তা নেওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের। এভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে বেরিয়ে আসছে প্রকৃত ঘটনা। ফলে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন নিরপরাধ ব্যক্তি, ধরা পড়ছেন আসল অপরাধী।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা মো. আব্দুল মতিন একটি হত্যা মামলায় ফেঁসে গিয়েছিলেন। তিনিও নিরপরাধ সাব্যস্ত হয়েছেন পিবিআইয়ের তদন্তে। আব্দুল মতিন বলেন, ‘একটা হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়। অথচ আমি কিছু জানিই না। পরে পিবিআই এটার তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের ধরে।’

পিবিআইয়ের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার চারটিসহ সারা দেশে মোট ৪৯টি ইউনিট নিয়ে কাজ করছে পিবিআই। কয়েক বছর আগেও তাদের তদন্তের ৭৫ শতাংশ মামলা আসত আদালত থেকে (সিআর)। কিন্তু এখন তাদের মামলার প্রায় ৮১ শতাংশই আদালত থেকে আসা। এসব মামলার অধিকাংশই রহস্যজনক মৃত্যু, প্রতারণা, অর্থনৈতিক প্রতারণা ও জালিয়াতির। এগুলোর তদন্ত সাধারণ মামলার চেয়ে বেশি সময়সাপেক্ষ। ফলে একজন অতিরিক্ত আইজিপির নেতৃত্বে ২ হাজার ১১৬ পুলিশ সদস্য ও ১৩০ জন সিভিল সদস্যের মোট ২ হাজার ২৪৬ জন লোকবল নিয়ে গড়া সংস্থাটি সময় দিয়ে নিখুঁত তদন্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার বলেন, ‘সীমিত জনবল নিয়েও তদন্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় তদন্তের গতিটা মোটামুটি সঠিক লাইনেই থাকে। তবে সব সময় যে আমরা পারি তা নয়। সেখানে অনেক সময় মেধার অভাব থাকে, বোঝার ভুল থাকে, নিজস্ব কিছু ত্রুটি থাকে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন ভিকটিম ও আসামি উভয়েই ন্যায়বিচার পান।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতে বিচার হয় পিবিআইসহ রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থার সঠিক তদন্তের ওপরই। দেশে বিচার হয়, কিন্তু ন্যায়বিচার নিয়েই প্রশ্ন ওঠে কিছু কিছু সময়। নিম্ন আদালতে বিচার প্রভাবিত হয় অনেক সময়। কিন্তু তদন্ত যদি ভালো হয়, তখন বিচারটাও ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সহায়ক হয়। এ ক্ষেত্রে পিবিআইসহ তদন্ত সংস্থাগুলোর জনবল ও সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘সমাজে নানা অপরাধ হয়। এসব অপরাধের মামলা তদন্তে পিবিআইসহ তদন্ত সংস্থাগুলো কাজ করে। বিচার হচ্ছে, কিন্তু ন্যায়বিচার নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। তদন্ত সংস্থাগুলো প্রয়োজনের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ জনবল নিয়ে কাজ করে। এই জনবল নিয়ে এত তদন্ত করা কঠিন। তাই তাদের সক্ষমতা বাড়ানো উচিত।’